উপন্যাস কাকে বলে তা সম্পর্কে তথ্য জানতে চাই।
Share
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
একটি উপন্যাস গদ্যে লেখা একটি দীর্ঘ আখ্যানমূলক কথাসাহিত্য। কবিতা, নাটক ও ছোটগল্পের মতো উপন্যাসও সাহিত্যের একটি বিশেষ শাখা। আধুনিক সাহিত্যে এটি একটি অপেক্ষাকৃত নতুন রূপ। যিনি উপন্যাস লেখেন তিনিই ঔপন্যাসিক।
একটি উপন্যাস লেখার জন্য কোন নির্দিষ্ট নিয়ম বা কাঠামো নেই। তবে এগুলো সাধারণত ছোটগল্পের চেয়ে বড় হয়। তাছাড়া উপন্যাসের বর্ণনা ও চরিত্রের বিস্তৃতি লক্ষ্য করা যায়। স্বল্প-দৈর্ঘ্যের উপন্যাসকে বলা হয় অনু-উপন্যাস বা উপন্যাস।
উপন্যাসে যখন পরিবেশ, বর্ণনা, রূপরেখা, চরিত্র, কথোপকথন প্রভৃতি মানুষের জীবনের গল্প সুন্দর ও স্বার্থকভাবে ফুটে উঠেছে, তাতে জীবনের কোনো অর্থ বা ভাষ্য প্রকাশ পেয়েছে। জীবনের এই মূর্ত রূপটি উপন্যাসের মাধ্যমে পাঠকের কাছে বাস্তব দেখা দেয়। নাটক, রজবলী (ধারাবাহিক), কবিতা ইত্যাদি থেকে উপাদান নিয়ে উপন্যাস রচনার প্রথাও রয়েছে। আসলে উপন্যাসের রূপ খুবই নমনীয় ও মিশ্র। তাই এর বিভিন্ন রূপ সুস্পষ্ট।
উপন্যাস আধুনিক সময়ের একটি বিশিষ্ট শিল্প ফর্ম। উপন্যাসের আভিধানিক অর্থ হল উপযোগী বা বিশেষ আকারে স্থাপন করা। অর্থাৎ, উপন্যাস হল গল্পের রূপের একটি উপাদান বর্ণনা করার একটি বিশেষ কৌশল, পদ্ধতি বা শৈলী। ‘উপন্যাস’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল: একটি কাল্পনিক গদ্য আখ্যান বা গল্প যা চিত্রিত পুরুষ ও মহিলাদের বাস্তব জীবনের চিত্র উপস্থাপন করে। অন্যভাবে বলা যায়, উপন্যাস হলো গদ্যে রচিত একটি আখ্যান বা গল্প যার মাধ্যমে মানব জীবনের বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়।
এর ব্যুৎপত্তিগত ও আভিধানিক অর্থ বিশ্লেষণের মাধ্যমে বলা যায় যে, মানব-মানব জীবনের বাস্তবতার উপর ভিত্তি করে কাল্পনিক উপাখ্যান পাঠকের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য বিশেষ বিন্যাসে গদ্যে রচিত হয়েছে। যেহেতু উপন্যাসের মূল ভিত্তি মানবজীবন, তাই উপন্যাসের কাহিনী বিশ্লেষণধর্মী, দীর্ঘ ও ব্যাপক।